Sunday, February 5, 2017

Ratargul Swamp Forest



সোয়াম্প ফরেষ্ট “রাতারগুল”







দেশের একমাত্র স্বীকৃত সোয়াম্প ফরেষ্ট বা জলার বন “রাতারগুল” সিলেটে অবস্থিত। সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলার বন কি? পানিসহিষ্ণু বড় গাছপালা একটা বনের রূপ নিলে তবেই তাকে বলে সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলার জঙ্গল। উপকূলীয় এলাকার বাইরে অন্যান্য জায়গার সোয়াম্প ফরেস্টগুলো সব সময় জলে প্লাবিত থাকে না। কেবল বর্ষায় এই বনের গাছগুলো আংশিক জলে ডুবে থাকে।
উত্তরে গোয়াইন নদী, দক্ষিণে বিশাল হাওর। মাঝখানে ‘জলার বন’ রাতারগুল। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলার বনের অবস্থান। সিলেট নগরী থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এ সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। অনিন্দ্য সুন্দর বিশাল এ বনের গাছ-গাছালির বেশিরভাগ অংশই বছরে চার থেকে সাত মাস থাকে পানির নিচে।
শীতের শুরুতেই আনাগোনা শুরু হয় অতিথি পাখির। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে চলে পাখির ‘ডুবো খেলা’। বনজুড়ে চরে বেড়ায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। হাওর আর নদী বেষ্টিত অপূর্ব সুন্দর বনের দক্ষিণ পাশে সবুজের চাদরে আচ্ছাদিত জালি ও মূর্তা বেত বাগান। এর পেছনেই মাথা উঁচু করে আছে সারি সারি জারুল-হিজল-কড়চ। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকগুলো আলাদা সৌন্দর্য এনে দিয়েছে জলার বনটিকে।
গোটা বনের আয়তন তিন হাজার ৩২৫.৬১ একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। বিশাল এ বনে রয়েছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতে মাঝেমধ্যে আসে বিশালকায় সব শকুন। আর লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঘাঁটি গাড়ে বালিহাঁসসহ হরেক জাতের পাখি। শুকনো মৌসুমে ডিঙ্গি নিয়ে ভেতরে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আপনাকে উড়ে সরে গিয়ে পথ করে দিবে। এ দৃশ্য আসলেই দূর্লভ!
বাংলাদেশের সব বনের থেকে রাতারগুল একেবারেই আলাদা। ঘন গাছের সারি। কিন্তু গাছগুলোর নিচের অনেকটাই ডুবে আছে পানিতে। গাছের মধ্যে করচই বেশি। হিজলে ফল ধরে আছে শয়ে শয়ে। বটও চোখে পড়বে মাঝেমধ্যে, মুর্তা গাছ কম। তবে রাতারগুলের বেশ বড় একটা অংশে বাণিজ্যিকভাবে মুর্তা লাগিয়েছে বন বিভাগ। মুর্তা দিয়ে শীতল পাটি হয়। মুর্তা বেশি আছে নদীর উল্টো পাশে। ওদিকে শিমুল বিল হাওর আর নেওয়া বিল হাওর নামে দুটো বড় হাওর আছে।
বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের হাঁটু পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে তৈরি করতে হবে পথ। চলতে হবে খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর।
সাপের মধ্যে রয়েছে অজগর, গুইসাপ, গোখরা, জলধুড়াসহ বিষাক্ত অনেক প্রজাতি। বর্ষায় বনের ভেতর পানি ঢুকলে এসব সাপ উঠে পড়ে গাছের ওপর। বনের ভেতর দাঁপিয়ে বেড়ায় মেছোবাঘ, কাঠবিড়ালি, বানর, ভোদড়, বনবিড়াল, বেজি, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউস, রুইসহ আরো অনেক জাতের মাছ পাবেন এখানে। শুকনো মৌসুমে পানি কম থাকে বলে অনেক সময় ছোট ছোট মাছগুলো লাফ দিয়ে ডিঙ্গিতে উঠে যায়।
হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে বনগুলো দৃশ্যমান থাকায় বর্ষাকালে অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটে এখানে। আবার শীত মৌসুমে ভিন্নরূপ ধারণ করে এ বন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে মূর্তা ও জালি বেতের বাগান। সে সৌন্দর্য আবার আবার অন্য রকম! বন এভাবে জলে ডুবে থাকে বছরে চার থেকে সাত মাস। বর্ষা কাটলেই দেখা যাবে অন্য চেহারা। তখন বনের ভেতরের ছোট নালাগুলো পরিণত হবে পায়ে চলা পথে। সেই পথ দিয়ে হেঁটে অনায়াসে ঘুরে বেড়ানো যায়। তো এখনই করে ফেলুন রাতারগুল ঘুরে যাওয়ার প্ল্যান। বোনাস সৌন্দর্য হিসেবে পাবেন গোয়াইন নদী দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার অসাধারন সুন্দর পথ, বিশেষ করে বর্ষায়। নদীর চারপাশের দৃশ্যের সঙ্গে উপরি হিসেবে দেখবেন দূরে ভারতের উঁচু উঁচু সব পাহাড়।
যেভাবে যেতে হবে:
রাতারগুল যাওয়া যায় বেশ কয়েকটি পথে। তবে যেভাবেই যান, যেতে হবে সিলেট থেকেই। সিলেট-জাফলংয়ের গাড়িতে উঠে নেমে যাবেন সারিঘাট। এখান থেকে টেম্পোতে করে গোয়াইনঘাট বাজার। বাজারের পাশেই নৌঘাট। এখান থেকে রাতারগুল যাওয়া-আসার জন্য নৌকা রিজার্ভ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, এই নৌকায় করে কিন্তু রাতারগুল বনের ভেতরে ঢোকা যাবে না। বনে ঢুকতে হবে ডিঙি নৌকায় চেপে।
আবার সিলেটের আম্বরখানা মোড় থেকেও সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলে যেতে পারেন মোটরঘাট / শ্রীঙ্গী ব্রিজ। যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। সেখানকার নৌঘাট থেকে নৌকা রিজার্ভ করে রাতারগুল যেতে পারবেন। তবে পথেই যান না কেন, বনে ঢোকার আগে অবশ্যই রাতারগুল বন বিট অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।

 বাংলাদেশের একমাএ সোয়াম্প ফরেষ্ট সিলেটের রাতার গোলে অবস্তিত। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি গোয়াইন ঘাট উপজেলায় রাতার গোল গ্রামে সোয়াম্প ফরেষ্ট বা জলাশয় বনাঞ্চলটি অবস্তিত। প্রকৃতি এত সুন্দর করে সাজিয়েছে যেন বাহারী গাছ পালা ও বন্য পাখির অাবাস ভুমির অপর নাম রাতার গোল।যে কোন পর্যটকদের জন্য সেটি হবে জীবনের সেরা ভ্রমন কাহিনীর একটি স্বরনীয় মুহুর্ত।সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দুরে এই সোয়াম্প ফরেষ্ট তার অাপন মহিমায় সাজিয়ে রয়েছে পর্যটকদের মন রাঙ্গিেয় তোলার জন্য।বছরের প্রায় সাত মাসই পানি বেষ্টিত এই জলাশয় বনাঞ্চলেই থাকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়।হাওয় ও নদী বেষ্টিত এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যা সাধারন বাংলাদেশের অার কোথায় ও দেখা যায় না।প্রায় সারা বছরই পানি নিচে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের গাঢ় সবুজের লাবন্যতা পাওয়া যায়।
কিভাবে অাসবেন রাতার গোল?
---------------------------------
সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন উপায়ে রাতার গোলে অাসা যায়।শহর থেকে প্রথমে বাসে এসে সারীঘাট, তার পর সারীঘাট থেকে গোয়াইনঘাট।গোয়াইনঘাট বাজারের পাশ থেকে ইঞ্জিল নৌকা করে রাতার গোল,এবং ডিঙ্গি নৌকা করে রাতার গোল ভ্রমনের পরিসমাপ্তি হবে।
তাই সময় পেলে একবার ঘুরে যাবেন কিন্তু?............অর্থ, সময় ও শ্রম বিফলে যাবে না।


সোয়াম্প ফরেষ্ট (জলাবন) রাতারগুল
অবস্থান : গোয়াইন ঘাট, সিলেট।

ভ্রমন ক্যাটাগরি : ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি
ভ্রমনের উপযুক্ত সময় : বর্ষা কাল (মার্চ-অক্টোবর) ।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। জলে নিমজ্জিত বন কে বলে সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলাবন। সারা পৃথিবীতে ২৮টি স্বীকৃত সোয়াস্প ফরেস্টের মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশের ‘রাতারগুল’। পৃতিবীর বিখ্যাত সোয়াম্প ফরেস্ট হচ্ছে আমাজান। নি¤œাঙ্গ জলে ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বর্ষা কাল আদর্শ সময়। বনের ভিতর নৌকায় ভ্রমণ করতে হয়। ডিঙি নৌকা— চড়ে বনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে দেখা যায় প্রকৃতির রূপসুধা। জলাভূমির মধ্যে কোমর ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি গাছের বিশাল এক জঙ্গল। এতই ঘন জঙ্গল যে ভেতরের দিকটায় সূর্যের আলো গাছের পাতা ভেদ করে জল ছুঁতে পারে না। এ যেন বাংলাদেশের আমাজন। এখানে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায় নানান বন্য প্রাণী আর পাখি।

সিলেট বন বিভাগের উত্তর সিলেট রেঞ্জে-২ এর অধীন প্রায় ৩০ হাজার ৩শ’ ২৫ একর জায়গা জুড়ে এ জলাভূমি। এর মধ্যে ৫শ’ ৪ একর জায়গার মধ্যে বন, বাকি জায়গা জলাশয় আর সামান্য কিছু উঁচু জায়গা। তবে বর্ষাকালে পুরো এলাকাটিই পানিতে ডুবে থাকে। শীতে প্রায় শুকিয়ে যায় রাতারগুল। তখন বনের ভেতরে খনন করা বড় জলাশয়গুলোতে শুধু পানি থাকে। পাখির আবাসস্থল হিসেবে ৩.৬ বর্গকিলোমিটারের একটি বড় লেক খনন করা হয়। শীতে এ জলাশয়ে বসে নানান পাখির মিলন মেলা। রাতারগুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই বনের সুধা নিতে হলে যেতে হবে সেখানে। জঙ্গলের একেবারে শুরুর দিকটায় মুতার বন। এর বেশির ভাগই জলে ডুবে থাকে বর্ষায়। এর পরেই শুরু আসল বন। যতই গহীনে যাওয়া যাবে ততই গাছের ঘনত্ব বাড়তে থাকবে। অনেক জায়গাতেই সূর্যের আলো পৌঁছায় না। দুই-একদিন বৃষ্টি না হলে পানি এত বেশি স্বচ্ছ হয় যে, বনের সবুজ প্রতিবিম্বকে মনে হয় বনের নিচে আরেকটি বন।

রাতারগুল জলাবনটিতে উদ্ভিদের দুটিস্তর পরিলক্ষিত হয়। উপরের স্তরটি মূলত বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ নিয়ে গঠিত যেখানে নিচের স্তরটিতে ঘন পাটিপাতার (মুর্তা) আধিক্য বিদ্যমান । বনের উদ্ভিদের চাঁদোয়া ১৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত । হিজল, তমাল,এখানে আছে নানান প্রজাতির পাখি। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— মাছরাঙা, বিভিন্ন প্রজাতির বক, ঘুঘু, ফিঙে, বালিহাঁস, পানকৌড়ি ইত্যাদি। বানর, উদবিড়াল, কাঠবেড়ালি, মেছোবাঘ বিভিন্ন প্রজাতির গুঁইসাপ সহ বন্যপ্রানির অভায়শ্রম এই বন। জলমগ্ন বলে এই বনে সাঁপের আবাস বেশি, আছে জোঁকও; শুকনো মৌসুমে বেজিও দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে বানর, গুইসাপ; পাখির মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। শীতকালে রাতারগুলে আসে বালিহাঁসসহ প্রচুর পরিযায়ী পাখি, আসে বিশালাকায় শকুনও। বনের জলে টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, আইড়, কালবাউশ, রুইসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ।

যে ভাবে যাবেন : রাতারগুল যাওয়ার অনেকগুলো পাথ আছে তবে সবচেয়ে সহজ পথটি হল সিলেট শহরের আম্বরখানা থেকে জনপ্রতি ১৮০/২০০টাকা ভাড়ায় সিএনজি অটোরিক্সায় আসতে পারেন রাতারগুল (মোটরঘাট)। আপনি চাইলে রিজার্ভ সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে আসতে পারেন ভাড়া ১২০০/১৫০০ টাকার মধ্যে। এরপর মোটরঘাট থেকে সরাসরি ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া নিয়ে বনের ভিতর চলে যাওয়া যায়। ভাড়া ৬০০/৮০০ টাকা; প্রতি নৌকায় ৪/৫ জন বসা যায়।

নোট : সাতাঁর না জানলে লাইফ জেকেট সঙ্গে রাখুন। বর্ষা কাল সঙ্গে ছাতা বা রেইন কোর্ট রাখুন। জলাবন হওয়ার কারনে এখানে সাপের আধিক্য বেশি সম্ভব হলে কার্বলিক এসিড সঙ্গে রাখুন (কার্বলিক এসিডের গন্ধে সর্প দুরিভূত হয়)।

দুরত্ব : সিলেট শহর থেকে রাতারগুল ২৬ কি.মি.।

সতর্কতা : এখানে আশে পাশে ভাল খাবারের রেস্টুরেন্ট নেই তাই সঙ্গে শুকনো খাবার রখতে পারেন। রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা নেই; তাই বেলা থাকতেই ফিরার পথ ধরতে হবে।


 রাতারগুল জলাবন। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ( Ratargul Swamp Forest)। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট । সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত এ বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর। আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে বর্তমানে কমে ৩৩১ একর হয়েছে বনের আয়তন । পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম এটি । মাত্র কয়েক বছর হল এই বন ব্যাপক পরিচিত হয়ে উঠেছে পর্যটকদের মাঝে। ভাবতেই ভাল লাগে বনটি পরিচিিত পাবার পেছনে যে কয়জন ছিলেন তাদেরমধ্যে আমিও একজন।
যদি ভুল না হয় ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আমরা কয়জন পরিবেশকর্মী এবং সংবাদকর্মী প্রথম রাতারগুল যাই। আমরা যারা ছিলাম তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা'র যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল, বাপা সিলেট এর সেক্রেটারী ও জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল করিম কিম, আমি বাপা হবিগঞ্জের সেক্রেটারী ও জাতীয় পরিষদ সদস্য তোফাজ্জল সোহেল , বিদেশী বন্ধু রস কলগেট , সাংবাদিক সামির মাহমুদ , আশরাফ ভাই, প্রথম আলো সিলেট এর আলোকচিত্র সাংবাদিক আনিস মাহমুদ । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ বিশ্ব পর্যটক দিবসে আনিস মাহমুদের চমৎকার একটি ছবিসহ প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকে রাতারগুল আলোচনায় উঠে আসে।

No comments:

Post a Comment