Sunday, February 5, 2017

Himchari National Park

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান 
বাংলাদেশের চত্রগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে অবস্থিত। উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। উদ্যানে অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে, যার মধ্যে হিমছড়ি জলপ্রপাতটি সবচেয়ে বিখ্যাত। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
 এ এলাকার ভৌগলিক অবস্থানঃ ২১°২১′৮″ উত্তর ৯২°২′৩১″ পূর্ব

জীববৈচিত্র্য

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি চিরসবুজ ও প্রায়-চিরসবুজ ক্রান্তীয় (Semi- evergreen tropical) বৃক্ষের বনাঞ্চল। বনের ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ,১৫ প্রজাতির গুল্ম , ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ।

হিমছড়ি জলপ্রপাত
হিমছড়ি বনাঞ্চল হাতির আবাসস্থল বলে ধারনা করা হয়। এছাড়া এ বনে মায়া হরিণ, বন্য শুকর ও বানর দেখা যায় । এ বনে ৫৫ প্রজাতির স্তন্য পায়ী , ২৮৬ প্রজাতির পাখি , ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৬ প্রজাতির উভচর  প্রাণী পাওয়া যায়।হিমছড়ি বনাঞ্চল উল্লুকের  আবাসস্থল।
পাখিপ্রেমীদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। এর ২৮৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে ময়না, ফিঙ্গে ও তাল বাতাসি  উল্লেখযোগ্য।


হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলা ও রামু উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এর আয়তন ১৭২৯ হেঃ। এখানকার বনের প্রকৃতি হলো ক্রান্তিয় চিরহরিৎ বন। এটি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধিক্ষেত্রাধীন। এ উদ্যানের চারপাশে প্রায় ৮৪২৭টি পরিবার বসবাস করে। যারা এ বন থেকে সম্পদ আহরনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও রোহিংগা শরনার্থীদের অনুপ্রবেশের কারণে এখানে বনের ভূমি জবর দখল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দারিদ্রতা, শিক্ষার অভাব এবং সুপেয় পানির অভাব দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে। বন বিভাগ এ জাতীয় উদ্যানটি সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম করছে।
এ উদ্যানে ৫০টির ও বেশী গাছ দেখা যায় এবং বহু ঔষধি গুন সম্পন্ন লতাগুল্ম পাওয়া যায়। এখানে প্রায় ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায় যার মধ্যে বানর, হনুমান ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য। এছাড়াও ২৮৬ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-পাহাড়ী ময়না, টিয়া ইত্যাদি। প্রায় ৫৬টি প্রজাতির সরিসৃপ ও উভয় চর প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়।
কক্সবাজার শহর থেকে খুব সহজে যেকোন যানবাহনে সড়ক পথে হিমছড়ি যাওয়া যায়। এখানে বন বিভাগের রেষ্ট হাউস রয়েছে। যা পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করা যায়।

No comments:

Post a Comment