Sunday, February 5, 2017

Inani National Park

ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চল 
 উখিয়ার উপকূলীয় জনপদ ইনানীর ১০ হাজার হেক্টর বনভূমিতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় উদ্যান প্রকল্প বাস্তবায়নের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও সরকারি স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে । ২০০৯ সালে বনবিভাগ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘শেড’ ইনানীর জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে ন্যাড়া পাহাড়কে সবুজে আচ্ছাদিত করলেও জাতীয় উদ্যানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়নি। 
 কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইনানী প্রবালগঠিত সমুদ্রসৈকত। পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের এক অপূর্ব জায়গাটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয়।
ইনানী সমুদ্র সৈকতের সামন্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল। কক্সবাজারের ইনানী ও আশপাশের বনাঞ্চল এক সময়ে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। এশিয়ান হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল এই বানাঞ্চলে। কিন্তু ৯৫ সাল থেকে ২০০৩ সালে বন বিভাগের এক জরিপে দেখা গেছে ৮ বছরের ইনানীর বনভূমি হতে প্রায় ৪২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন উজাড় হয়ে গেছে। অবৈধ বসতি স্থাপন, বন উজাড় করে কৃষি জমিতে রূপান্তর, অপরিকল্পিভাবে গাছপালা কাটা, বনজ সম্পদ আহরণে কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে বনকে রক্ষার জন্য বনবিভাগ, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ও বননির্ভর জনগণকে নিয়ে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, বর্তমানে সহব্যবস্থাপনা 
কার্যক্রম, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম, বিকল্প জীবিকা সৃষ্টি করে বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে বনের হারানো জীববৈচিত্র্য আবার আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান, ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জরিপে ৩১৬ ধরনের বন্যপ্রাণী,৩১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে এ বনে। এ বনে এখনও এশিয়ান হাতির দেখা মেলে। বনের ভেতরে তাদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সকাল সন্ধ্যায় প্রায় হাতির দল বনের বাইরে চলে আসে। ২০০৯ সাল থেকে বন বিভাগ,আরণ্যক ফাউন্ডেশন, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা শেড ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প শুরু করে। এর মাধ্যমে ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার পাশে বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ২ হাজার পরিবারকে বনের ওপর 
নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প জীবিকার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা,কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণায়মান তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। বনের ওপর যে কোন ধরনের অপরাধ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সহব্যবস্থাপনা কমিটি। তিনি জানান, প্রকল্পের অর্থায়নে বন বিভাগ ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে ১ হাজার ৩৫৬ হেক্টর এলাকায় দেশীয় প্রজাতির চারা রোপণ করেছে। বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোটুরিজমের জন্য সোয়ানখালী বিটে একটি ইকোটুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সহব্যবস্থাপনা মাধ্যমে শীলখালী গর্জন বাগান রক্ষায়ও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে নানা কারণে এ বাগান ধ্বংস হলেও এখনও দেশের সবচেয়ে বড় গর্জন বাগান এটিই। ’৯১ সালে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।বর্তমানে অসংখ্য বড় বড় গর্জন গাছ সমুদ্র তীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীলখালী রেঞ্জের সদর বিটের ৭২ একর জমি নিয়ে প্রাকৃতিকভাগে জন্মানো এ গর্জন বাগান বর্তমান গর্জন স্যাম্পল প্লট হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৩ সালে এ এলাকাটিকে গর্জন স্যাম্পল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, লাগামহীন জনসংখ্যার চাপ, জবরদখল, মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গাদের আগম, অবৈধভাবে গাছ চুরি ইত্যাদি কারণে গর্জন বাগানটি ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের সম্মুখীন। এ বাগানে ২০০৪ সাল থেকে সহব্যবস্থাপনার আওতায় সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত এলাকায় সহব্যবস্থাপনা 
কমিটি স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বন রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বন রক্ষার জন্য ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রফিক মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে উক্ত এলাকায় ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা দিবস পালন করা হয়। 

ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ॥ ইনানী সমুদ্র সৈকতের সামন্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল। কক্সবাজারের ইনানী ও আশপাশের বনাঞ্চল এক সময়ে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। এশিয়ান হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল এই বানাঞ্চলে। কিন্তু ৯৫ সাল থেকে ২০০৩ সালে বন বিভাগের এক জরিপে দেখা গেছে ৮ বছরের ইনানীর বনভূমি হতে প্রায় ৪২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন উজাড় হয়ে গেছে। অবৈধ বসতি স্থাপন, বন উজাড় করে কৃষি জমিতে রূপান্তর, অপরিকল্পিভাবে গাছপালা কাটা, বনজ সম্পদ আহরণে কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে বনকে রক্ষার জন্য বনবিভাগ, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ও বননির্ভর জনগণকে নিয়ে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, বর্তমানে সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম, বিকল্প জীবিকা সৃষ্টি করে বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে বনের হারানো জীববৈচিত্র্য আবার আসতে শুরু করেছে।
তিনি জানান, ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জরিপে ৩১৬ ধরনের বন্যপ্রাণী, ৩১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে এ বনে। এ বনে এখনও এশিয়ান হাতির দেখা মেলে। বনের ভেতরে তাদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সকাল সন্ধ্যায় প্রায় হাতির দল বনের বাইরে চলে আসে।
২০০৯ সাল থেকে বন বিভাগ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা শেড ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প শুরু করে। এর মাধ্যমে ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার পাশে বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ২ হাজার পরিবারকে বনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প জীবিকার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণায়মান তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। বনের ওপর যে কোন ধরনের অপরাধ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সহব্যবস্থাপনা কমিটি।
তিনি জানান, প্রকল্পের অর্থায়নে বন বিভাগ ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে ১ হাজার ৩৫৬ হেক্টর এলাকায় দেশীয় প্রজাতির চারা রোপণ করেছে। বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোটুরিজমের জন্য সোয়ানখালী বিটে একটি ইকোটুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সহব্যবস্থাপনা মাধ্যমে শীলখালী গর্জন বাগান রক্ষায়ও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে নানা কারণে এ বাগান ধ্বংস হলেও এখনও দেশের সবচেয়ে বড় গর্জন বাগান এটিই। ’৯১ সালে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে অসংখ্য বড় বড় গর্জন গাছ সমুদ্র তীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীলখালী রেঞ্জের সদর বিটের ৭২ একর জমি নিয়ে প্রাকৃতিকভাগে জন্মানো এ গর্জন বাগান বর্তমান গর্জন স্যাম্পল প্লট হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৩ সালে এ এলাকাটিকে গর্জন স্যাম্পল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, লাগামহীন জনসংখ্যার চাপ, জবরদখল, মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গাদের আগম, অবৈধভাবে গাছ চুরি ইত্যাদি কারণে গর্জন বাগানটি ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের সম্মুখীন। এ বাগানে ২০০৪ সাল থেকে সহব্যবস্থাপনার আওতায় সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত এলাকায় সহব্যবস্থাপনা কমিটি স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বন রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বন রক্ষার জন্য ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রফিক মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে উক্ত এলাকায় ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা দিবস পালন করা হয়।
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/145152/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0#sthash.fgraCGVu.dpuf
ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ॥ ইনানী সমুদ্র সৈকতের সামন্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল। কক্সবাজারের ইনানী ও আশপাশের বনাঞ্চল এক সময়ে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। এশিয়ান হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল এই বানাঞ্চলে। কিন্তু ৯৫ সাল থেকে ২০০৩ সালে বন বিভাগের এক জরিপে দেখা গেছে ৮ বছরের ইনানীর বনভূমি হতে প্রায় ৪২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন উজাড় হয়ে গেছে। অবৈধ বসতি স্থাপন, বন উজাড় করে কৃষি জমিতে রূপান্তর, অপরিকল্পিভাবে গাছপালা কাটা, বনজ সম্পদ আহরণে কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে বনকে রক্ষার জন্য বনবিভাগ, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ও বননির্ভর জনগণকে নিয়ে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, বর্তমানে সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম, বিকল্প জীবিকা সৃষ্টি করে বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে বনের হারানো জীববৈচিত্র্য আবার আসতে শুরু করেছে।
তিনি জানান, ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জরিপে ৩১৬ ধরনের বন্যপ্রাণী, ৩১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে এ বনে। এ বনে এখনও এশিয়ান হাতির দেখা মেলে। বনের ভেতরে তাদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সকাল সন্ধ্যায় প্রায় হাতির দল বনের বাইরে চলে আসে।
২০০৯ সাল থেকে বন বিভাগ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা শেড ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প শুরু করে। এর মাধ্যমে ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার পাশে বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ২ হাজার পরিবারকে বনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প জীবিকার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণায়মান তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। বনের ওপর যে কোন ধরনের অপরাধ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সহব্যবস্থাপনা কমিটি।
তিনি জানান, প্রকল্পের অর্থায়নে বন বিভাগ ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে ১ হাজার ৩৫৬ হেক্টর এলাকায় দেশীয় প্রজাতির চারা রোপণ করেছে। বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোটুরিজমের জন্য সোয়ানখালী বিটে একটি ইকোটুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সহব্যবস্থাপনা মাধ্যমে শীলখালী গর্জন বাগান রক্ষায়ও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে নানা কারণে এ বাগান ধ্বংস হলেও এখনও দেশের সবচেয়ে বড় গর্জন বাগান এটিই। ’৯১ সালে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে অসংখ্য বড় বড় গর্জন গাছ সমুদ্র তীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীলখালী রেঞ্জের সদর বিটের ৭২ একর জমি নিয়ে প্রাকৃতিকভাগে জন্মানো এ গর্জন বাগান বর্তমান গর্জন স্যাম্পল প্লট হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৩ সালে এ এলাকাটিকে গর্জন স্যাম্পল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, লাগামহীন জনসংখ্যার চাপ, জবরদখল, মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গাদের আগম, অবৈধভাবে গাছ চুরি ইত্যাদি কারণে গর্জন বাগানটি ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের সম্মুখীন। এ বাগানে ২০০৪ সাল থেকে সহব্যবস্থাপনার আওতায় সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত এলাকায় সহব্যবস্থাপনা কমিটি স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বন রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বন রক্ষার জন্য ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রফিক মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে উক্ত এলাকায় ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা দিবস পালন করা হয়।
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/145152/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0#sthash.fgraCGVu.dpuf
ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ॥ ইনানী সমুদ্র সৈকতের সামন্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চল। কক্সবাজারের ইনানী ও আশপাশের বনাঞ্চল এক সময়ে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। এশিয়ান হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল এই বানাঞ্চলে। কিন্তু ৯৫ সাল থেকে ২০০৩ সালে বন বিভাগের এক জরিপে দেখা গেছে ৮ বছরের ইনানীর বনভূমি হতে প্রায় ৪২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন উজাড় হয়ে গেছে। অবৈধ বসতি স্থাপন, বন উজাড় করে কৃষি জমিতে রূপান্তর, অপরিকল্পিভাবে গাছপালা কাটা, বনজ সম্পদ আহরণে কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে বনকে রক্ষার জন্য বনবিভাগ, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ও বননির্ভর জনগণকে নিয়ে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, বর্তমানে সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম, বিকল্প জীবিকা সৃষ্টি করে বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ রক্ষার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে বনের হারানো জীববৈচিত্র্য আবার আসতে শুরু করেছে।
তিনি জানান, ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জরিপে ৩১৬ ধরনের বন্যপ্রাণী, ৩১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে এ বনে। এ বনে এখনও এশিয়ান হাতির দেখা মেলে। বনের ভেতরে তাদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সকাল সন্ধ্যায় প্রায় হাতির দল বনের বাইরে চলে আসে।
২০০৯ সাল থেকে বন বিভাগ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা শেড ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে সহব্যবস্থাপনা প্রকল্প শুরু করে। এর মাধ্যমে ইনানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার পাশে বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ২ হাজার পরিবারকে বনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প জীবিকার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণায়মান তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। বনের ওপর যে কোন ধরনের অপরাধ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে সহব্যবস্থাপনা কমিটি।
তিনি জানান, প্রকল্পের অর্থায়নে বন বিভাগ ইনানী রক্ষিত বনাঞ্চলে ১ হাজার ৩৫৬ হেক্টর এলাকায় দেশীয় প্রজাতির চারা রোপণ করেছে। বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোটুরিজমের জন্য সোয়ানখালী বিটে একটি ইকোটুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সহব্যবস্থাপনা মাধ্যমে শীলখালী গর্জন বাগান রক্ষায়ও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে নানা কারণে এ বাগান ধ্বংস হলেও এখনও দেশের সবচেয়ে বড় গর্জন বাগান এটিই। ’৯১ সালে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে অসংখ্য বড় বড় গর্জন গাছ সমুদ্র তীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শীলখালী রেঞ্জের সদর বিটের ৭২ একর জমি নিয়ে প্রাকৃতিকভাগে জন্মানো এ গর্জন বাগান বর্তমান গর্জন স্যাম্পল প্লট হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৩ সালে এ এলাকাটিকে গর্জন স্যাম্পল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, লাগামহীন জনসংখ্যার চাপ, জবরদখল, মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গাদের আগম, অবৈধভাবে গাছ চুরি ইত্যাদি কারণে গর্জন বাগানটি ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের সম্মুখীন। এ বাগানে ২০০৪ সাল থেকে সহব্যবস্থাপনার আওতায় সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত এলাকায় সহব্যবস্থাপনা কমিটি স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বন রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বন রক্ষার জন্য ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রফিক মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে উক্ত এলাকায় ২৩ মার্চ সহব্যবস্থাপনা দিবস পালন করা হয়।
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/145152/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0#sthash.fgraCGVu.dpuf

No comments:

Post a Comment