Sunday, February 5, 2017

Medha Kachapia National Park




মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এই বনটি তার সুবিশাল মাদার গর্জন গাছের জন্য সুপরিচিত। মেধা কচ্ছপিয়া একটি প্রাকৃতিক বন। ২০০৪সালে উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন প্রায় ৩৯৫.৯২ হেক্টর।
 কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ২ হাজার ৯৬১ একর ও কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ১৩ হাজার ১৫৮ একর বনভুমিতে রোপিত হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ। এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে নীরব সবুজ বিপ্লব। যতদুর চোখ যায় ঐ দূর নীলিমায় চোখ দুটি ভরে যায় সবুজের সমারোহে। দৃষ্টি জুড়ে যায় বন অধিদপ্তরের সৃজিত সামাজিক বনায়ন। সুত্র মতে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি, ফাসিয়াখালী, রাজঘাট, ঈদগাঁও, ঈদগড়, মেহেরঘোনা, বাঁকখালী, জোয়ারিয়ানালা ও সদর রেঞ্জের বিভিন্ন বিটে ২ হাজার ৯৬১ একর বনভুমিতে বনায়ন সৃজন করা হয়। তৎমধ্যে ৭০১ একর বনভুমিতে পুনঃবনায়ন (দ্বীয় আর্বত বাগান) করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৬৫ জন উপকারভোগী। এসব বনাঞ্চলে ১৯৫২-৫৩ সাল থেকে শুরু করে এখনও অব্যাহত রয়েছে বনায়ন সৃজনের কাজ। একই সঙ্গে চলছে বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষরাজি রক্ষায় বনকর্মী ও বন জায়গীরদারদের প্রাণপণ প্রচেষ্টাও। বন নির্ভরশীলদের বননির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প জীবিকায়নের কাজ করছে বেশ কয়েকটি এনজিও।

 মেধাকচ্ছপিয়া ও ফাঁসিয়াখালী বনবিট এলাকায় ১০০ হেক্টর করে মোট ২০০ হেক্টর জায়গায় এএনআর (গাছ থেকে বীজ পড়ে স্বাভাবিক পন্থায় যে চারা তৈরী হয়) বাগান সৃজনের মাধ্যমে অভয়ারণ্য তৈরী করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমস্ত এলাকার বাইরের জায়গাতেও এএনআর বাগান সৃজনের মাধ্যমে বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরী করা প্রয়োজন।

  এটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে মোট আয়তন ৩৯৫.৯২ হেঃ। এখানকার বনের প্রকৃতি হলো ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন। এ উদ্যানটি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন
 বিশালাকৃতির গর্জন ছাড়াও রয়েছে ঢাকিজাম, ভাদি, তেলসুর ও চাপালিশ।
 এখানে আসার জন্য কক্সবাজারের পরিবহন ভরসা। কক্সবাজার যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে মেধা কচ্ছপিয়ার নাম ফলক। এখানে থাকার আলাদা ব্যবস্থা নেই। কক্সবাজারে থেকেই এটা ভ্রমণ করা যাবে। অথবা যাওয়ার পথে দুদন্ড বিশ্রাম নিতে পারেন। এখানে বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে ভেতরে হাঁটা যাবে। পায়ে হাঁটার জন্য রয়েছে মসৃণ পথ। চাইলে তার একটা ম্যাপও পাওয়া যাবে। তাহলে পথ হারানোর ভয় থাকবেনা।  বনে বানর, হনুমান, হাতি, বেজি ও শেয়াল রয়েছে।

 এ এলাকার ভৌগলিক অবস্থানঃ ২১°৪১′১৫.৫৬″ উত্তর ৯২°০৯′২১.৬৬″ পূর্ব
চুনতি অভয়ারন্যের ন্যায় মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান রক্ষায় নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
 ২০০৪ সালে এক গেজেট ৩৯৫.৯৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয় এটি। 
বর্তমানে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুর, বৈলাম, চম্পা, গামার, ডুমুর, জাম, ডেওয়া, বট, বাঁশ, 
বেত, চাতিমসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছ রয়েছে এ বনে। উল্লেখযোগ্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে ২১ 
প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩০ প্রজাতির ১৩ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য 
প্রাণী শিয়াল, বাগডাস, বানর, লালবুক, টিয়া, ময়না, শালিক অন্যতম। বর্তমানে সহব্যবস্থপনা 
 কমিটির মাধ্যমে লোকজনকে বিকল্প জীবিকার জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
ফলে স্থানীয়রা বাগান থেকে কাঠ সংগ্রহ কমিয়ে সেলাইসহ নানা ধরনের হাতের কাজের মাধ্যমে 
জীবিকা সংগ্রহ করছে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীনে ফুলছড়ি রেঞ্জে মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় 
উদ্যান অবস্থিত।


মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে মোট আয়তন ৩৯৫.৯২ হেঃ। এখানকার বনের প্রকৃতি হলো ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন। এ উদ্যানটি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন। পার্কটির ১ থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আনুমানিক ১৮৩০৫ জন লোকের ৩৫২৩টি পরিবার বসবাস করে। এসব স্থানীয় গ্রাম কিংবা পাড়া গুলো মূলতঃ কৃষিকাজ, লবন চাষ ও মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কারনে এ সকল জনগোষ্টিতে ক্রমান্বয়ে জন সংখ্যার চাপ বাড়ছে।
এখানে জাতীয় উদ্যান প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল শতবর্ষী গর্জন বনকে রক্ষা করা। এই উপমহাদেশে যে অল্প কিছু গর্জন বন আজও মাথা উঁচু করে আছে। এ বনটি তার মধ্যে অন্যতম। এই জাতীয় উদ্যানের প্রধান বৃক্ষরাজির মধ্যে বিশালাকৃতির গর্জন ছাড়াও রয়েছে ঢাকিজাম, ভাদি, তেলসুর ও চাপালিশ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-মহাসড়ক সংলগ্ন এ পার্কটিতে চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজার হতে সড়ক পথে সহজেই আসা যায়।

No comments:

Post a Comment