মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ উন্মুক্ত উদ্যান,
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত।
১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা দেয়া হয়।
[১] নিসর্গপ্রেমীদের কাছে মধুপুরের জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান।
এ এলাকার ভৌগলিক অবস্থানঃ ২৪°৪১′৫৪″উত্তর ৯০°০৭′১০″পূর্ব
অবস্থান
মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক থেকে বনের মধ্যে ইট বাঁধানো পায়ে চলার পথ। এই পথ ধরে
হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে যাওয়া যায়।
রাজধানী শহর
ঢাকা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে
টাঙ্গাইল এর মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে
ময়মনসিংহ
যাবার পথে রসুলপুর মাজার নামক স্থানে গিয়ে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান
ফটক বামদিকে দেখতে পাওয়া যায়। ফটকের পাশেই মধুপুর জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ
অফিস ও সহকারী বন সংরক্ষকের অফিস অবস্থিত। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে বনের
ভিতর ঢুকতে হয়।
[২]
এই উদ্যান ১৯৮২ সালের হিসাব অনুযায়ি ৮,৪৩৬ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত
হলে। এটি পূর্বের আয়তন থেকে অনেক ছোট হয়ে এসেছে অনেকের মতে এটি প্রায়
অর্ধেক। এই উদ্যান মূলত বিস্তৃত
শালবনের খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত।
উদ্ভিদবৈচিত্র্য
শাল,
বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী,
জয়না, বিধা, আজুকি/ হারগাজা, বেহুলা প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষরাজিতে শোভিত
এই উদ্যান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাহাড়ি আলু, শটি আর নাম না জানা
বিভিন্ন ধরণের লতাগুল্ম।
[২]
জীববৈচিত্র্য
এই বন পূর্বে
চিতাবাঘ এর প্রিয় আবাস্থল ছিল ও বিস্তৃতিও ছিল বিশাল তবে বর্তমানে
বানর,
বন্য শুকর,
মুখপোড়া হনুমান,
মায়া হরিণ,
শিয়াল,
বনরুই সহ ৯ প্রজাতির
স্তন্যপায়ী[৩];
বনমোরগসহ[২] ৩৮ প্রজাতির
পাখি, ৪ প্রজাতির
উভচর ও কয়েক প্রজাতির
সরিসৃপ পাওয়া যায়।
[৩] বনের ঠিক মাঝখানে লহরিয়া বিট অফিসের কাছে রয়েছে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র।
[২]
No comments:
Post a Comment