সুন্দরবনে খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষায় যেমন Royal Bengal Tiger , অজগর সহ কিছু মাংসাশী প্রাণী আছে যা হরিনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে (Density) ভুমিকা রাখে । প্রতিটি বনে কোন প্রাণী কতটি থাকতে পারবে তার একটি নিজস্ব নিয়ম (Territory) আছে , কিন্তু নিঝুম দ্বিপে তা দেখা যায় না । যেমন বৃক্ষর মধ্যে কেওড়া গাছের আধিক্য সবচে বেশি অন্য গাছ নাই বললেই চলে ,তেমনি জীব জন্তুর মধ্যে হরিন দেখা যায় । প্রতিটি জঙ্গলে গাছ পালা সহ জীব জগতের একটা পারসপরিক সম্পর্ক Eco-system থাকে , নিঝুম দ্বিপে সম্পূর্ণই অনুপস্থিত । নিঝুম দ্বিপে হরিন ছাড়া আছে শিয়াল ও এলাকার কুকুর । শিয়াল জঙ্গলের কিছুটা শৃঙ্খল মেনে চললেও এলাকার কুকুর তা মেনে চলে না। নিঝুম দ্বিপের কুকুর গুলা খায় একটা হরিন , কিন্তু নষ্ট করে ৩/৪ টা হরিন । এ ছারা এখানে আছে হরিনের Food habit সমস্যা । এখানে কেওড়া ও কিছু গাস ছারা আর কোন খাদ্য নাই হরিনের জন্য । আর কেওড়া গাছ গুলা বড় হয়ে যাওয়াতে হরিনের নাগালের বাহিরে চলে গেছে । এখানে নাই কোন বানর যে হরিনের জন্য কেওড়া ফল বা পাতা ছিরে ফেলাবে । হরিন ও বানরের Mutualism এখানে নাই । যার কারনে হরিনের খাদ্যের প্রকট সমস্যা এই জঙ্গলে । খাদ্যের সমস্যা ও কুকুরের অযথা নষ্ট করার কারনে অনেক হরিন মরে পরে থাকে । নাই কোন শকুন যে মরা হরিন গুলা খাবে । এতে হরিন গুলো পচে নানা রকমের রোগ জিবানু ছড়ায় ।এই কারনে ক্ষত রোগ ও ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত নিঝুম দ্বিপের হরিন গুলো ।
এটি অথিতি পাখি চলাচলের একটি পথ । শীতের পাখি ছারাউ এখানে অনেক দেশিও পাখি আছে । খাল বিলের মাছ ও বিভিন্ন পোকামাকড় থাকলেও তেমন কোন ফলের গাছ নাই পখির খাদ্যের জন্য । বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও পাখির বাসা করার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ এর সমন্বয়ের অভাব আছে এই জঙ্গলে । চৌধুরী খাল এর আশেপাশে ঘুরে দেখা গেলো তেমন কোন ঝোপ ঝার নাই যাতে বাসা করতে পারে পাখি , বন বিরাল , বাগডাশ সহ বিভিন্ন জীব জন্তু ।
জঙ্গলে কিছু ছোট সাপ ছারা তেমন কোন সাপ চোখে পরে নাই এই অঞ্চলে । এক বার অজগর ছারা হলেও বাঁচে নাই এইখানকার পরিবেশের কারনে । ব্যাঙ , খরগোশ , বেজি সহ অনেক প্রাণী অনুপস্থিত যা এই জঙ্গলের Eco-system এর দুর্বলতা প্রকাশ পায় ।
করনিয়ঃ প্রথমত জীব বিজ্ঞানী , উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ,পরিবেশ বিজ্ঞানী সহ বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ , বনজ ও ঔষধী গাছ লাগাতে হবে । যেহেতু এটি একটি ম্যানগ্রোভ বন তাই এখানে সুন্দরি(Heritiera fomes), গেওয়া (Excoecaria agalloch) , গরান ( Cerips Decandra ), ধুন্দল ( Xylocarpus granatum),গোল পাতা ( Nypa fruticans) , অর্কিড , বুনফুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো যেতে পারে । সেই সাথে বিভিন্ন প্রজাতির লতা গুল্ম Poresia, Coaractata, Myriostachy, Wightiana, শন ( Imperrata cylindrical),নল খাগড়া (Phragmites karka) লাগাতে হবে । সেই সাথে এখানকার আবহাওয়ার সাথে বিবেচনা করে ব্যাঙ , সাপ, গুই সাপ , খরগোস , কাঠ বিড়ালী , বাগডাশ , বন বিড়াল , বিভিন্ন প্রজাতির বানর , বন শুয়োর ছারা যেতে পারে । হরিন শুমারি করে যদি দেখা যায় হরিন বেশী হয়ে গেছে তাহলে হরিন অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে ।
No comments:
Post a Comment